বুক রিভিউ বইঃপ্রশান্তির খোঁজে মূলঃউস্তাদ নুমান আলি খান প্রকাশনায়ঃবুকিশ পাবলিশার _______________ _______________ _______________ ____...
বুক রিভিউ
বইঃপ্রশান্তির খোঁজে
মূলঃউস্তাদ নুমান আলি খান
প্রকাশনায়ঃবুকিশ পাবলিশার
_______________ _______________ _______________ ______
বই পড়ে মজা পাওয়া যায়।কিছুটা আনন্দও পাওয়া যায়। কিন্তু প্রশান্তির খোঁজ পাওয়া যায় না।বই যদি প্রশান্তির ঠিকানা বাতলে দেয়, তাহলে সেটি অবশ্যই চোখে পড়ার মত। তার বিষয়বস্তু ভালো করে মাথায় সেট করা চাই। 'প্রশান্তির খোঁজে' এমন একটি বই।এতে প্রশান্তির খোঁজ দেওয়ার মত অনেকগুলো টফিক রয়েছে, যা আপনার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখে দিবে-কিভাবে প্রশান্তি অর্জন করবেন।
বইটির ২৮ পৃষ্ঠার বিষয় হলো-"আমরা মুসলিম, কিন্তু কেন"?এ প্রশ্নটা আমাকেও একটু ধাক্কা দিয়েছে। এতদিন নিজেকে মুসলিম পরিচয়ে গর্বিত ছিলাম। কিন্তু মুসলিম হওয়ার পিছনে কারণটা জানা ছিল না,আর প্রশ্নটাও কখনো মাথায় আসেনি।বইতে উত্তরটা সুরা ইউসুপের ১০৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে।এ টপিকে একটি শিক্ষা আছে-যখন কোন বিষয়ে সচেতনতা থাকবে, অন্তঃদৃষ্টি দিয়ে বিচার হবে,তখন বিষয়টি আপনার মনে গেঁথে যাবে।যখন আমরা সচেতন মুসলিম হবো আর যুক্তি, অন্তঃদৃষ্টি দিয়ে নিজের মুসলমানিত্ব বিচার করবো, তখনই একজন পরিপূর্ণ মুসলিম হবো।
বইতে মুসলিম হওয়ার যথাযথ কারণ-উত্তর দুইটাই যখন পেয়েছি, তখন স্বয়ংক্রিয় কতগুলো প্রশ্ন আমার মাথায় ভর করলো।আচ্ছা তাহলে ইসলামের অত্যাবশ্যকীয় বিষয় কী? ৩২ পৃষ্ঠায় এর অসাধারণ উত্তর রয়েছে। এই একটা টফিকের জন্যই বইটা ভালো চলবে। টপিকটা জেনারেশন পরিবর্তনের জন্য যথেষ্ট।
অত্যাবশ্যকীয় ছাড়াও ইসলামের বিষয়গুলো পালন করার নাম- ইবাদত।এখন প্রশ্ন আসে আমরা ইবাদত কেন করব?ইবাদত করে পার্থিব জীবনে আমার লাভ কি?কাকতালীয়ভাবে ১১৭ পৃষ্ঠায় খুব সুন্দর এটির উত্তর আছে।আমি পুরাই 'থ' হয়েগেলাম।উত্তরট া এক কথায় শেয়ার করি, মানুষদের সব ভালোগুণ শক্তিশালী করার জন্যই আল্লাহর ইবাদত করা চাই।আর এ উপায়ে আমরা আল্লাহ সন্তুষ্ট অর্জন করতে পারব।
বইতে কিছু প্রশ্নের উত্তর পেয়েগেলাম।তখন মনে আখেরাতের বিষয় নিয়ে একটু উৎসুক তৈরি হলো। আচ্ছা আখেরাত কেন?এ নিয়ে যদি একটু আলোচনা থাকত তাহলে মনে এ সম্পর্কে বিশ্বাস আরো দৃঢ় হতো।বইয়ের 'আখিরাত' অধ্যায়ে দেখলাম নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর জবাব দেওয়া হয়েছে, যা এককথায় 'অনন্য'।
এবার বইটির নামকরণের স্বার্থকতা খুঁজতে লাগলাম। প্রশান্তি বিষয়ে বইতে বলা হয়েছে- যদি আমার ঈমান দৃঢ় থাকে, তাহলে আবশ্যই আমি বাস্তবতার মধ্যে থেকেও শান্তি খুঁজে পাব।স্থায়ী প্রশান্তিতো আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে।আল্লাহর সাথে সম্পর্ক যত দৃঢ় হবে ততই অন্তরের অন্তঃহীন শুণ্যতার অবসান ঘটবে।আল্লাহ'তে বিশ্বাসের সাথে যদি শিরক ও কুফর মিশ্রিত না করি, তাহলেই সেই কাঙ্খিত মানসিক শান্তির সন্ধান আমরা পেয়ে যাব।খুব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, যা নিয়ে আগে ভাবিনি।যখন নিজের জীবনে এ পয়েন্টগুলো একটু একটু করে প্রয়োগ করব,সত্যিই তখনই আমরা প্রশান্তি সন্ধান পাব।
বইটির আরেকটি দিক আমার ভালো লেগেছে।আর তা হলো 'মুসলিম ডেপেলপমেণ্ট' বিষয়ক বক্তব্য। যেভাবে আমরা আবার শ্রেষ্ঠত্বের সাধনা করব।এখানে একজন মুসলিমের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের সর্বোচ্চ উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
২৭০ পৃষ্ঠার এই বইটির প্রত্যেকটি টপিক আমার ভালো লেগেছে।বইটি মুলত উস্তাদ নুমান আলি খানের লেকচারের অনুবাদ সংকলন।নুমান আলি খানকে বলা হয় নাস্তিকদের ফিতনা। তিনি ইসলামের সৌন্দর্য,কুরআনে র অলৌকিক বিষয়গুলো সুন্দর-সাবলীলভা বে তুলে ধরেন। বাংলা ভাষায় এইধরণের বই যদি আরো রচিত হয়, তাহলে আমাদের জনসমাজে ইসলাম বিষয়ে ব্যাপক চর্চা হবে।তখন বিভ্রান্ত মতবাদ যেমনঃ নাস্তিকতা, সমাজতন্ত্র টিকে থাকতে পারবে না।আমাদের শিক্ষিত সমাজ ইসলাম সম্পর্কে যদি সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ও তার মনে জমা হওয়া প্রশ্নের যুক্তিনির্ভর উত্তর পেয়ে যায়, তাহলে তারা আর বিভ্রান্র দর্শন, আরো বাতিল ও পথভ্রষ্ট মতবাদ যা আছে, তার দিকে উদভ্রান্ত হয়ে ছুটবে না।
বইঃপ্রশান্তির খোঁজে
মূলঃউস্তাদ নুমান আলি খান
প্রকাশনায়ঃবুকিশ
_______________
বই পড়ে মজা পাওয়া যায়।কিছুটা আনন্দও পাওয়া যায়। কিন্তু প্রশান্তির খোঁজ পাওয়া যায় না।বই যদি প্রশান্তির ঠিকানা বাতলে দেয়, তাহলে সেটি অবশ্যই চোখে পড়ার মত। তার বিষয়বস্তু ভালো করে মাথায় সেট করা চাই। 'প্রশান্তির খোঁজে' এমন একটি বই।এতে প্রশান্তির খোঁজ দেওয়ার মত অনেকগুলো টফিক রয়েছে, যা আপনার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখে দিবে-কিভাবে প্রশান্তি অর্জন করবেন।
বইটির ২৮ পৃষ্ঠার বিষয় হলো-"আমরা মুসলিম, কিন্তু কেন"?এ প্রশ্নটা আমাকেও একটু ধাক্কা দিয়েছে। এতদিন নিজেকে মুসলিম পরিচয়ে গর্বিত ছিলাম। কিন্তু মুসলিম হওয়ার পিছনে কারণটা জানা ছিল না,আর প্রশ্নটাও কখনো মাথায় আসেনি।বইতে উত্তরটা সুরা ইউসুপের ১০৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে।এ টপিকে একটি শিক্ষা আছে-যখন কোন বিষয়ে সচেতনতা থাকবে, অন্তঃদৃষ্টি দিয়ে বিচার হবে,তখন বিষয়টি আপনার মনে গেঁথে যাবে।যখন আমরা সচেতন মুসলিম হবো আর যুক্তি, অন্তঃদৃষ্টি দিয়ে নিজের মুসলমানিত্ব বিচার করবো, তখনই একজন পরিপূর্ণ মুসলিম হবো।
বইতে মুসলিম হওয়ার যথাযথ কারণ-উত্তর দুইটাই যখন পেয়েছি, তখন স্বয়ংক্রিয় কতগুলো প্রশ্ন আমার মাথায় ভর করলো।আচ্ছা তাহলে ইসলামের অত্যাবশ্যকীয় বিষয় কী? ৩২ পৃষ্ঠায় এর অসাধারণ উত্তর রয়েছে। এই একটা টফিকের জন্যই বইটা ভালো চলবে। টপিকটা জেনারেশন পরিবর্তনের জন্য যথেষ্ট।
অত্যাবশ্যকীয় ছাড়াও ইসলামের বিষয়গুলো পালন করার নাম- ইবাদত।এখন প্রশ্ন আসে আমরা ইবাদত কেন করব?ইবাদত করে পার্থিব জীবনে আমার লাভ কি?কাকতালীয়ভাবে
বইতে কিছু প্রশ্নের উত্তর পেয়েগেলাম।তখন মনে আখেরাতের বিষয় নিয়ে একটু উৎসুক তৈরি হলো। আচ্ছা আখেরাত কেন?এ নিয়ে যদি একটু আলোচনা থাকত তাহলে মনে এ সম্পর্কে বিশ্বাস আরো দৃঢ় হতো।বইয়ের 'আখিরাত' অধ্যায়ে দেখলাম নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর জবাব দেওয়া হয়েছে, যা এককথায় 'অনন্য'।
এবার বইটির নামকরণের স্বার্থকতা খুঁজতে লাগলাম। প্রশান্তি বিষয়ে বইতে বলা হয়েছে- যদি আমার ঈমান দৃঢ় থাকে, তাহলে আবশ্যই আমি বাস্তবতার মধ্যে থেকেও শান্তি খুঁজে পাব।স্থায়ী প্রশান্তিতো আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে।আল্লাহর সাথে সম্পর্ক যত দৃঢ় হবে ততই অন্তরের অন্তঃহীন শুণ্যতার অবসান ঘটবে।আল্লাহ'তে বিশ্বাসের সাথে যদি শিরক ও কুফর মিশ্রিত না করি, তাহলেই সেই কাঙ্খিত মানসিক শান্তির সন্ধান আমরা পেয়ে যাব।খুব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, যা নিয়ে আগে ভাবিনি।যখন নিজের জীবনে এ পয়েন্টগুলো একটু একটু করে প্রয়োগ করব,সত্যিই তখনই আমরা প্রশান্তি সন্ধান পাব।
বইটির আরেকটি দিক আমার ভালো লেগেছে।আর তা হলো 'মুসলিম ডেপেলপমেণ্ট' বিষয়ক বক্তব্য। যেভাবে আমরা আবার শ্রেষ্ঠত্বের সাধনা করব।এখানে একজন মুসলিমের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের সর্বোচ্চ উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
২৭০ পৃষ্ঠার এই বইটির প্রত্যেকটি টপিক আমার ভালো লেগেছে।বইটি মুলত উস্তাদ নুমান আলি খানের লেকচারের অনুবাদ সংকলন।নুমান আলি খানকে বলা হয় নাস্তিকদের ফিতনা। তিনি ইসলামের সৌন্দর্য,কুরআনে
COMMENTS